বুধবার, ২৯ মে, ২০১৩

দেশ আমার আজ মৃত্যুকূপে পরিনত !

কি বিচিত্র এই দেশ আমার। ৯০% মুসলমানের এই দেশে মুসলমানরাই আজ সংখ্যালঘু। গত ২৫ মার্চ  হরতাল-সমর্থকদের দেওয়া আগুনে গাড়িসহ পুড়ে গুরুতর আহত হয়ে ৬ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান মোঃ মুসা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে শুধু বিবি সখিনা নন,পুরো পরিবারই এখন দিশেহারা। এটা শুধুমাত্র পত্রিকার একটা নিউজ এবং রাত পোহালেই ভোর হওয়া মাত্রই মুসার এই খবরটি গত হয়ে যাবে এবং এটি একটি বাসি খবর হয়ে যাবে। এবং আগামীকালকে পত্রিকা খুললেই আরেকটা মুসার মৃত্যুর খবর আমরা দেখবো এভাবেই পরশু, তরশু আরো কয়েকটা লাশ এবং কয়েকটা পরিবারের ধংশ হয়ে যাওয়া খবর আমরা গলদকরন করবো। কিন্তু খবরদার কেও কোনো আওয়াজ তুলবেন না। পৃথিবীতে কবি নজরুল, রবী ঠাকুর, একবারই এসে ছিলো। এই দুই মহান লেখকের লেখনিতে ছিল যেমন ঝোড় তেমন ছিল বুক ভরা সাহস। এরা বুক ফুলিয়ে বৃটিশদের বলতে পেরেছিল এদেশ ছাড়বি কবে বল? আবার এটাও বলতে পেরেছিলো আমি বগবানের বুকে একে দেবো পৃথিবীর পদচিহ্ন।

আজকে একদল ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্যে মরিয়া হয়ে শাষক দিয়ে শাষন করছে আমাদের। আবার অন্যদিকে আরেক দল ক্ষমতা লাভের জন্যে যেখানে যেটা পাচ্ছে সেটা নিয়েই রাস্তায় নেমে আসছে। আর এই দুই শ্রেণীর কর্মশূচীতে দর্শকদের একশ্রেণীর মানুষ বলির পাঠা হচ্ছে  আরেক শ্রেণীর দর্শক এই সব দেখে হায় হায় করছে। আজকে যারা বিরোধী দলে আছেন তারা যদি ক্ষমতায় আসেন উনারা কি এই রক্তের খেলা বন্ধ করতে পারবেন? রক্তের দাগ কখনো মুছে যায় না। আগামী দিনে এই রক্ত দীগুন হয়ে ঝড়বে। জনগনকেই আজকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কোন পথে হাটবো। সস্তা রাজনীতির সস্তা কর্মসুচী পালন  করার জন্যে আমারা আর কতো রাস্তায় নেমে আসবো? দেশটাযে দিনে দিনে মৃত্যুকূপে পরিনত হতে চলেছে সেদিকে কারো  নজড় যায় না। সোনার বাংলা আজ রক্তমাখা লাশে পরিনত। এই মাটি রক্তমাখা মৃতদেহ আর বহন ক রতে পারছে না। এই মৃত্যুকূপ থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করার জন্যে পাঞ্জেরীরূপে কেও আসবে সেই অপেক্ষায় বসে থাকার সময় এখন আর নাই। আজ সময় এসেছে প্রত্যেককেই নিজ নিজ জায়গা থেকে পাঞ্জেরীর ভূ্মিকা পালন করার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন