শনিবার, ১১ মে, ২০১৩

হেফাযতের ভিতরে লোকায়িত ষড়যন্তকারীরা !

প্রতিদিনের মত গাতকালকেও কাজে যাবার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম মনটা কিছুটা ভিষন্ন ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলায় হেরে যাওয়ায়। মনের মাঝে ভীষন উতকন্ঠা কাজ করছিল হেফাযতের ঢাকা ঘেরাও কমশূচী নিয়ে। তাই খেলা দেখছিলাম মনের ওই দূরাবস্থা দূর করার জন্যে। কিন্তু প্রতিনিয়ত চোখ যাচ্ছিল news update এর দিকে। বাংলাদেশে এখন কি অবস্থা। মনের এই অস্থির অবস্থাটা শুধুযে আমার মাঝেই কাজ করেছে এমনটা নয় লন্ডনে বসবাসরত হাজারহাজার বাঙ্গালীর মনেও একি সঙ্কা ছিল। কাজে যাবার প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষের দিকে ঠিক তখনই mobile ringtone টা বেঝে উঠল receive করতেই অন্যপ্রান্ত থেকে কোনো কিছু বলার আগে একটা কথা আগে শুনতে পেলাম '''ওবেডা আস্তা ঢাকা শহরো আগুন লাগাইচ্চে,বাক্কা দূর আগুন লাগাইচ্চে মন অয়, আর সরকার পড়ছোইন বালা বিপদো অখন তারা কিতা করতো''' একটু বলে নেই উনি লন্ডনে স্থানীয় রাজনীতীর সাথে জড়িত। তবে অবাক লাগার বিষয় হল উনি বেশ আনন্দের সঙ্গে এই খবরটা আমাকে দিচ্ছিলেন।

ভাবতে অবাক লাগে এই মানুষটা রাজনিতী করে যে কিনা দেশে আগুন লেগেছে আর এটা দেখে সে খুশি তবে বুঝতে বেশি সময় লাগে নাই উনার খুশির আসল কারনটা যে সরকার বিপদে পড়ার কারনে। উনি কথাটা এইভাবে না বললেও পারতেন কিন্ত উনার দলগত অবস্থানের কারনে কথাটা এভাবেই ভেতর থেকে বের হয়েছে। খবরটা শোনা মাত্র ২ মিনিটের মত স্তব্দ হয়ে গেল আমার শরীর কারনটা বলার অপেক্ষা রাখেনা দেশটা তাহলে আফগান রাষ্ট্র হতে চলেছে। অবশেষে কাজ শেষ করে গভীর রাতে ঘরে ফেরার পালা তবে আজকে রাস্তা যেন আর শেষ হয় না। অবশেষে ঘরে এসেই Laptop নিয়ে বসে গেলাম খবর দেখার জন্যে। এবার মনে হয় খবরটা কিছুটা সস্থির, ঢাকা মোটামোটি সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের দখলে।

তবে সস্থিটা বেশিখন স্থায়ী হয় নাই কারনটা হল আবারো সেই ঘুরেফিরে কতগুলো নিষ্পাপ মানুষের মৃতদেহ জাতিকে দেখতে হয় কিনা সেই দুশ্চিন্তায়। হেফাযতের মূল নেতা যারা তাদেরকে জঘন্য ধমব্যাবসয়ী বলা ছাড়া ভাল আর কোনো title nai আমার কাছে। কিন্তু সারা দেশ থেকে কিছু ক্ষমতা লোভী মহলের টাকা খেয়ে যেভাবে লক্ষ লক্ষ ধমপ্রাণ মুসলিমদেরকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিয়ে এসেছে এদের কী হবে? যাহোক সরকার অতি অল্প সময়ে দেশে সস্থি ফিরিয়ে আনতে পেরেছে সেকারনে সরকারকে ধন্যবাদ। সরকারে প্রতি আকুল আবেদন থাকবে আর দেরি নয় দেশও জাতির উদ্যেশে একটা ভাষন দিন দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে। সত্য ঘটনা তুলে ধরেন যাতে করে মুসলমানদেরকে কেও ভীন্ন পথে চালিত করতে না পারে।

আর হেফাযতের মূল নেতা গুলোকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। কি plan ছিল তাদের, আসল চক্র কারা, কি তাদের উদ্যেশ্য ছিল। ইসলাম নিয়ে ভন্ডামি করতে দেয়া যাবে না, যদি সত্যিকারের ইসলাম প্রচার করতে চায় তাহলে আল্লাহর রাসূলের দেয়া নিদেশিত পথে দীনের দাওয়াত দিতে বলুন, দীনের দাওয়াত এত শহজ না হ্যালিকপ্টারে করে প্রজাপতির মত ঘুরে বেড়ালেই দীনের দাওয়াত দেয়া যায় না, ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে এসে সরকার পতনের আন্দোলনে নেমে গেছেন। বাংলাদেশের সরকার কি শুধু মাত্র মুসলিমদের জন্যে? বাকি অন্যান্য religion দের সরকার কে বারাক ওবামা? মুক্তিযুদ্ধ কি শুধুমাত্র মুসলমানরা করেছে? অন্যান্ন religion এর মানুষ করে নাই? সরকারের প্রতি আহবান থাকবে বিরোধী দলের দাবি election এর জন্যে তত্তাধায়ক অথবা নীরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার জন্যে আপনারা একটু আন্তরিক হয়ে আলোচনায় বসুন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন